বেহাল রাস্তা , প্রতিবাদে সরব এলাকাবাসী বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে

29th June 2020 7:03 pm বাঁকুড়া
বেহাল রাস্তা , প্রতিবাদে সরব এলাকাবাসী বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবীতে আন্দোলনে নামলেন সম্মিলীত এলাকাবাসী।  বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় অবশেষে বাধ্য হয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর  পৌরসভার দু' নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে গণ ডেপুটেশনে অংশ নেন। ঐ এলাকার মানুষের অভিযোগ, শ্মশান কালী মন্দির থেকে শ্যামবাঁধ যাওয়ার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শ্যামবাঁধ লোহারপাড়া , আদিবাসী পাড়া ,  ময়রাপুকুর , ঘুটবন , শরোমনিপুর , পানশিউলার বাসিন্দাদের। সোমবার পৌরসভার সামনে কয়েকশো মানুষ জমায়েত হয়ে "  রাস্তা চাই  রাস্তা চাই  রাস্তা নইলে  ভোট নাই " দাবী সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে  মিছিল ও  পৌরসভার দপ্তরের সামনে  বিক্ষোভ দেখান। পরে বিক্ষোভকারীদের তরফে একটি প্রতিনিধি দল পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির হাতে তাদের দাবি-দাওয়া সম্বলিত  স্মারকলিপি তুলে দেন । আন্দোলনকারীদের দাবী, রাতের অন্ধকারে সমস্যা আরো বেশি হয় বিশেষ করে সমস্যায় পড়তে হয় স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের । এক আন্দোলনকারী বলেন , দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা খারাপ থাকার ফলে যাতায়াতে আমাদের চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলেই তার অভিযোগ। 

বিষ্ণুপুর পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি এবিষয়ে বলেন ,  ইতিমধ্যে রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে পৌরসভার তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।